ইউক্রেনের বিস্ফোরক অভিযোগ: রাশিয়ার তেল টার্মিনালে হামলা, বিশ্বে নতুন উত্তেজনা
- By Jamini Roy --
- 08 October, 2024
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত ক্রিমিয়ার ফিওদোশিয়া অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি তেলের টার্মিনালে হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর জন্য অপরিহার্য জ্বালানি সরবরাহ করতো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার পর বলেন, "যুদ্ধ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে," যা সংঘাতের গতি পরিবর্তনকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে নিশ্চিত করেছে যে, তারা ফিওদোশিয়ায় শত্রুপক্ষের জ্বালানি টার্মিনালে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এ হামলার পর, স্থানীয় রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার সকালে টার্মিনালে আগুন লেগেছে, তবে আগুনের উৎস এবং ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে, তারা দোনেতস্কের হ্রোদিভকা গ্রাম দখলে নিয়েছে। যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষে প্রবেশের প্রেক্ষাপটে, কিয়েভের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেন বর্তমানে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে কাজ করছে, যা রুশ জ্বালানি তেলের ডিপো, পরিশোধন কেন্দ্র এবং অস্ত্রাগারগুলোকে টার্গেট করে।
এ হামলা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত নানা প্রশ্নের উত্থান ঘটিয়েছে। যুদ্ধের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং এ ধরণের হামলার সম্ভাব্য পরিণতি বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা তৈরি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেনের এই হামলা কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং এটি তাদের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, যা রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। জ্বালানি সরবরাহের এই অবরোধ, ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিশ্লেষকদের নজর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চলমান ঘটনার দিকে নিবদ্ধ রয়েছে।